প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৮:৩৯

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে যে পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চমকপ্রদ বিষয় হলো, এই ঘোষণা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে, যিনি শনিবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির ফল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার এই বক্তব্য ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এদিকে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। তিনি জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি।
রুবিও স্পষ্ট করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানদের সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে সরাসরি সংলাপে বসেছেন তিনি। পাশাপাশি উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রুবিও বলেন, শান্তির পথে দুই নেতার সাহসী পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর জন্য আশার বার্তা। দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এমন চুক্তি হতে পারে একটি কার্যকর সূচনা।
যদিও এখনো পর্যন্ত ভারত কিংবা পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবুও ট্রাম্প ও রুবিওর বক্তব্যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় কূটনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সক্রিয় ভূমিকা এই অঞ্চলের শান্তির পথে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। এই যুদ্ধবিরতি যদি কার্যকর থাকে, তাহলে তা এই অঞ্চলের জন্য হতে পারে একটি স্থায়ী সমঝোতার সূচনা।