যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা দুই দেশের মধ্যে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) জিওটিভি নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, হামলাকারীরা ভারতীয় নাগরিক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হামলায় হাইকমিশনের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে এবং ভবনের সাদা দেয়ালে গেরুয়া রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মতে, সম্পত্তির ক্ষতির কারণ হয়েছে।
এটি ঘটার একদিন আগে পাকিস্তানি হাইকমিশনের বাইরে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে শত শত লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। তারা পাকিস্তান বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান এবং প্রতীকী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। এই বিক্ষোভের সময় কিছু সহিংসতা ঘটে এবং এতে দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। স্থানীয় পুলিশ এই সহিংসতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পাকিস্তান সরকার এ হামলাকে শক্তভাবে নিন্দা জানিয়েছে এবং দাবি করেছে যে, এটি ভারতীয় সরকারের প্ররোচনার ফলস্বরূপ। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের মতে, হামলাকারীরা আন্তর্জাতিক কূটনীতির নীতিকে অগ্রাহ্য করে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। তারা ভারতের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানি হাইকমিশনের বাইরে পাকিস্তানের সমর্থনে পাল্টা সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বক্তারা ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তাদের দোষারোপ করেন। সমাবেশের একাধিক বক্তা বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবিচারের পথে হাঁটছে এবং এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে সম্পর্ককে আরও খারাপ করে তুলবে।
এই হামলার ঘটনার পর, লন্ডনের নিরাপত্তা বাহিনী হাইকমিশনের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে আশা করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি আরও শান্তিপূর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তবে, পাকিস্তান ও ভারত উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়ানো নতুন কোনও ঘটনা নয়।
এই হামলা কূটনৈতিক মহলে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আরও চাপ তৈরি করবে।