বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা উদ্যোগকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে মার্চ ২০২৫ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা উদ্যোগকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। এক সাংবাদিক বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।

প্রশ্নকর্তা উল্লেখ করেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার হুমকি এবং একটি ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন। তবে তিনি সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেননি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছে।

এ ছাড়া ওই সাংবাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া খিলাফতপন্থী একটি র‍্যালির কথাও উল্লেখ করেন এবং জানতে চান যুক্তরাষ্ট্র কী বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে কিনা।

এ প্রশ্নের জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বৈষম্যের নিন্দা জানিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি ইতিবাচক এবং তারা সেই প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্র চায়, এসব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকুক এবং সবার অধিকার নিশ্চিত হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্যকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে এসব প্রশংসা সহায়ক হবে।

বাংলাদেশের প্রশাসনও জানিয়েছে, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং যে কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে তারা তৎপর রয়েছে। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপগুলোতে দেশের অভ্যন্তরেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশে চলমান যে কোনো উগ্রপন্থী তৎপরতা মোকাবিলায় সরকার কড়া অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসন নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।