প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১৯:১২
ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১৫টি শহরে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার সকালে এসব হামলা চালানো হয় বলে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার জানিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান এসব হামলা চালায়। যদিও হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতও পাল্টা আক্রমণ করেছে। লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনায় ভারত আক্রমণ চালিয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে।
পাকিস্তান থেকে আসা হামলা প্রতিরোধ করতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী শহরগুলোতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এসব হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনী জানায়, পাকিস্তান থেকে নিক্ষিপ্ত একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানের রাডার সিস্টেম ও অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতের ব্ল্যাকআউট ঘোষণার পর, পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতীয় বাহিনী ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের রাডার ধ্বংস করেছে। এটি মূলত রাডার সিস্টেম শনাক্ত করে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এর আগে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি শহরে হামলা করেছিল। এটি জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাদের সেনারা ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে এবং এসব হামলার পর সাধারণ মানুষ সামরিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে জড়ো হতে দেখা গেছে। এই উত্তেজনা কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে দুই সপ্তাহ আগে ২৬ জন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।