নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে থানায় ডেকে এনে সাড়ে তিন ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী শিক্ষক নগেন্দ্র নাথ দেবনাথ, যিনি শহরের চক প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহকারী শিক্ষক। তিনি লক্ষ্মী রাণী নামক এক নারীর কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে শোধ করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়েন। লক্ষ্মী রাণী দাবি করেন, নগেন্দ্র নাথ তাঁর কাছ থেকে মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিলেন, যার বিপরীতে মাসিক মুনাফা হিসেবে ২২ হাজার টাকা দিতে হতো। তবে, নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে।
গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা যায়, ২০১৬ সালে নগেন্দ্র নাথ লক্ষ্মী রাণীর কাছ থেকে চড়া সুদে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সুদের টাকা পরিশোধ করার পরও শেষ পর্যন্ত নগেন্দ্র টাকা দিতে অক্ষম হন এবং পালিয়ে থাকতে হয়। এমনকি, বিভিন্ন পাওনাদারের কারণে এলাকাও ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি সুদের টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে লক্ষ্মী রাণী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী নগেন্দ্র নাথকে থানায় ডেকে এনে সাড়ে তিন ঘণ্টা নারী ও শিশু ডেস্কে তালাবদ্ধ রাখেন।
এই ঘটনায় পরবর্তীতে, শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় এক সহযোগীর সহায়তায় ওসি স্যারের হস্তক্ষেপে নগেন্দ্র নাথকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। নগেন্দ্র দাবি করেন, তিনি ইতিমধ্যে লক্ষ্মী রাণীকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা শোধ করেছেন, কিন্তু লক্ষ্মী রাণী পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তবে, লক্ষ্মী রাণী পুলিশ তদন্তের সময় দাবি করেন যে তিনি সুদের ব্যবসা করেন না এবং নগেন্দ্র নাথকে টাকা ধার দিয়েছিলেন।
ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নগেন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে চেক ডিজ অনারের মামলাগুলি। পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, নগেন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আরও অনেকের টাকা পাওনা রয়েছে এবং তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। তবে, ওসি সিদ্দিকী জানিয়ে দেন যে তাঁকে আটক রাখা ভুল ছিল, এবং এ বিষয়ে যদি আবার অভিযোগ আসে, তবে তা পুলিশ সুপারকে জানাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।