বরিশালে সাংবাদিক খন্দকার রাকিব ও তার ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বুধবার ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
বরিশালে সাংবাদিক খন্দকার রাকিব ও তার ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরীকাঠী গ্রামে সাংবাদিক খন্দকার রাকিব ও তার ছোট ভাই খন্দকার শরীফুল ইসলামের উপর সশস্ত্র হামলা, দোকান ভাঙচুর এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সাংবাদিক খন্দকার রাকিব কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, চরমোনাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ পশুরীকাঠী গ্রামে চাঁদেরহাট বাজারে, যেখানে শরীফুলের স্টেশনারী ও পোল্ট্রি দোকান ছিল। অভিযোগে জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীফুলের দোকানের সামনে একটি অটোর ধাক্কায় ট্রলির সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনার পর, স্থানীয়রা ট্রলির ড্রাইভারকে মারধর করে এবং বিষয়টি সমাধান করে দেন। তবে পরবর্তীতে কয়েকজন স্কুলছাত্র ট্রলির ড্রাইভারকে পুনরায় মারধর করলে, ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা শরীফুলের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান, যার পরিপ্রেক্ষিতে শরীফুল দুর্ঘটনার পুরো বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সঠিকভাবে জানান। এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেয় এবং পালিয়ে যায়।


এ ঘটনার পর, বুধবার সকালে মাঈনুল হাওলাদার ও মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী দল চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, লোহার রড, লাঠি সোটাসহ শরীফুলের দোকানে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় বড় ভাই খন্দকার রাকিব তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে, সন্ত্রাসীরা তাদের দুজনকে মারধর করে এবং খুন জখমের হুমকি দেয়। এরপর, সন্ত্রাসীরা দোকান থেকে ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনতাই করে এবং দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আবারও তাদের পথরোধ করে মারধর করে।


শরীফুল এবং তার বড় ভাইয়ের পরিবারকে ভবিষ্যতে খুন জখমের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা শরীফুলকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাঈনুল হাওলাদারকে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করা হয়েছে, যা এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।


এদিকে, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।