সরকারকে জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি, ধৈর্যের পরীক্ষা না নেওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১০ অপরাহ্ন
সরকারকে জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি, ধৈর্যের পরীক্ষা না নেওয়ার আহ্বান

রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের আর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না, আমরা ভদ্র কিন্তু বোকা নই। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে দলটির নিবন্ধন পুনর্বহাল এবং সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানানো হয়।  


ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভে দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। তারা বলেন, জামায়াত রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার অপচেষ্টা চলছে, যা মেনে নেওয়া হবে না। দলটির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।  


শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনীতি করতে চায়, কিন্তু সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে দলটির কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এটা বোঝার সময় এসেছে যে, মানুষ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।  


সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তারা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ আর চলতে দেওয়া হবে না।  


এদিকে, বিক্ষোভ মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। নেতারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, কিন্তু সরকার যদি দমন-পীড়ন চালায়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।  


জামায়াত নেতারা দাবি করেন, দলটি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছে। তাই নানা ষড়যন্ত্র করেও তাদের দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তারা বলেন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে থাকবেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।  


বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে, তবে জনগণের আন্দোলনেই তাদের পতন নিশ্চিত হবে। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করে নেতারা বলেন, অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।  


সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। জামায়াত নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারকে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।