আজমিরীগঞ্জে নিম্নমানের খাবার, হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমিনুল ইসলাম আপন - জেলা প্রতিনিধি,হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০২ অপরাহ্ন
আজমিরীগঞ্জে নিম্নমানের খাবার, হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ভাটিবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত আল ইমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় গ্রাহকরা হোটেলটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।  


স্থানীয়দের অভিযোগ, হোটেলটি পচাবাসি ও সংরক্ষিত খাবার গরম করে পরিবেশন করছে, যা খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে গ্রিল চিকেন ও অন্যান্য খাবার দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে পুনরায় পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  


কাকাইলছেও গ্রামের এক গ্রাহক জানান, তিনি ও তার কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি এখানে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার অভিযোগ, খাবারের মান যেমন খারাপ, তেমনি দামও অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই হোটেল বর্জনের আহ্বান জানান।  


স্থানীয়রা আরও জানান, আশপাশের অন্যান্য রেস্টুরেন্টের তুলনায় আল ইমরান হোটেলে খাবারের দাম অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা সত্ত্বেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া গ্রাহকদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  


এ ব্যাপারে হোটেলের মালিক লিটন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে হোটেল কর্তৃপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেনি গ্রাহকরা।  


স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় এই হোটেলের খাবার খেয়ে আরও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।  


এদিকে, এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয় বলে জানান কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি। তাদের ভাষ্য, এর আগেও হোটেলটি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।  


ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা করছে এলাকাবাসী। তাদের মতে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এভাবেই প্রতারণার শিকার হতে থাকবে।