পদ্মা নদীতে অস্ত্রসহ চরমপন্থী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:১০ অপরাহ্ন
পদ্মা নদীতে অস্ত্রসহ চরমপন্থী গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ফারুক হোসেন (৩৫) নামে এক চরমপন্থী সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফারুক পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের পূর্ব চর আফরা গ্রামের আক্কাস আলী শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।  


অভিযানে ফারুকের কাছ থেকে দুটি ওয়ান শুটার গান, একটি পাইপগান, একটি এয়ারগান, চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ্য বস্তু, একটি রামদা, ১৮টি তাজা কার্তুজ, একটি ডেগার এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র দুটি সিমেন্টের ব্যাগে লুকানো ছিল। অভিযানে তার ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়েছে।  


দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে টহলের সময় পাংশা থানার মাধ্যমে তথ্য আসে যে, পদ্মা নদীতে একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। খবর পেয়ে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব, এসআই মাসুদ রানা, এসআই লুতফর রহমানসহ একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে পাংশা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  


পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এক সন্ত্রাসী ট্রলার থেকে নদীতে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে যৌথ বাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।  


এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৬ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।  


দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এনামুল হক জানান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের উৎস ও এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। নদী পথে চরমপন্থীদের অপতৎপরতা রোধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।  


রাজবাড়ী জেলার পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থীদের তৎপরতা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাম্প্রতিক অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।