বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২রা জানুয়ারী ২০২৫ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন

বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণে জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।  


বিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশীয় চিপ ডিজাইন, টেস্টিং এবং অ্যাসেম্বলিং সক্ষমতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উচ্চ বেতন ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানিযোগ্য শিল্পখাত হিসেবে এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে।  


বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাপ্লাই চেইনের কাছাকাছি অবস্থান, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম খরচ এবং দক্ষ যুবশক্তি বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে বৈশ্বিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হবে।  


টাস্কফোর্সের মূল কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে তাৎক্ষণিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করা, নীতিগত এবং দক্ষতার ঘাটতি দূর করা এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অবকাঠামো ও প্রণোদনার কাঠামো প্রস্তাব করা। আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ এই টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দেবে।  


১৩ সদস্যের এই টাস্কফোর্সে রয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদরা। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের মধ্য থেকে টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সিলিকন ভ্যালি এবং অন্যান্য স্থানে কর্মরত তিনজন বিশেষজ্ঞকে।  


বিডার বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট খাতের আরও সমন্বিত উন্নয়নের জন্য টাস্কফোর্স সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের সুপারিশ প্রণয়ন করবেন।  


বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে এই উদ্যোগ বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে দেশের অবস্থান সুসংহত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।