দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরাইলে ধান কাটার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি এবং জ্বালানির বাড়তি দামের কারণে কিছুটা সংকটে পড়লেও সরাইলের কৃষকেরা এবারের আমন ধান চাষে ভালো ফলন পেয়েছেন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
মাঠে মাঠে এখন সোনালী ধানের সুমিষ্ট ঘ্রাণ। দিগন্তজোড়া মাঠজুড়ে কোথাও পাকা ধান, আবার কোথাও আধাপাকা ধানের ঝিলিক। কৃষকেরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সঙ্গে কাজ করছেন কৃষাণীরা, যারা ধান শুকানো এবং গোলায় তোলার কাজে সহযোগিতা করছেন।
কৃষকেরা বলছেন, এবারে আবহাওয়া তাদের অনুকূলে ছিল। বৃষ্টিপাতের কিছুটা সমস্যা থাকলেও মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন রোপণ করা সহজ হয়। পোকামাকড় এবং ইঁদুরের আক্রমণও ছিল তুলনামূলক কম। এতে ফলন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পাকা ধান কাটতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি শ্রমিকের সংকটও এ বছর দেখা যায়নি। বাজারেও ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে প্রতি মণ ধান ১,৩০০ থেকে ১,৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম হোসেন জানান, “এ মৌসুমে রোপা আমন চাষে কৃষকদের তেমন কোনো বাড়তি খরচ হয়নি। প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ফসলের বাজার মূল্যও চাষিদের জন্য সন্তোষজনক।”
তিনি আরও জানান, “উপজেলায় ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এই বছর কৃষকেরা তাদের কষ্টের ফল ভোগ করতে পারছেন। ধানের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে।”
কৃষকেরা আশা করছেন, আগামী দিনেও আবহাওয়া এবং বাজার তাদের পক্ষে থাকবে। সরাইলে বাম্পার আমন ফলন গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।