বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনার ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি, যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিটিরই তদন্ত হচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম, যেমন ইন্ডিয়া টুডে এবং আনন্দবাজার পত্রিকা, দাবি করেছে যে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ৪৭টি, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ২ হাজার ২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই তথ্যটি ভুল এবং অতিরঞ্জিত, এমন মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রেস উইংয়ের পোস্টে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ১৩৮টি সহিংস ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার মধ্যে ৩৬৮টি বাড়িঘরে হামলা হয়েছে এবং ৮২ জন আহত হয়েছে।
পোস্টে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব হামলার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে, যখন দেশে সরকার ছিল না। সরকার বলছে, এসব হামলার অধিকাংশই রাজনৈতিক কারণে সংঘটিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে সকল পক্ষকে অনুরোধ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সঠিক তথ্য ও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।