করোনা যেন বদলে দিয়েছে সব কিছুই। পোশাক থেকে অভ্যাস সবই। ‘নিউ নর্মাল’ জীবনে বাইরে বেরলেই পরতে হচ্ছে মাস্ক। সঙ্গে রাখতে হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু শুধু পরবেন কেন? এবার না হয় মাস্ক পরোটা দিয়ে সারুন পেটপুজোও। অবাক হবেন না। এমনই বন্দোবস্ত করেছে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের এক রেস্তরাঁ। অবাক না হয়ে চলুন না একবার ঢুঁ মারা যাক।
তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের রেস্তরাঁ মালিক কেএল কুমার। আর পাঁচজন সচেতন নাগরিকের মতো তিনিও করোনা নিয়ে যথেষ্ট সাবধান। আনলক ওয়ানে রেস্তরাঁ খোলার পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো তিনি আরও সাবধানে বিক্রিবাটা করছেন। কিন্তু তাঁর নজরে আসে সাবধান মানুষের ভিড়ে কিছু সংখ্যক অসচেতন মানুষও রয়েছেন। যাঁরা রেস্তরাঁয় এসে আচমকা খাবার নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ দেখা সত্ত্বেও যাঁরা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এতটুকুও চিন্তিত নন। হাজারবার বলে কোনও বদল আসেনি তাঁদের। তাই একটু অন্যরকম পদক্ষেপ নেন কেএল কুমার।
রেস্তরাঁ মালিক ভাবেন খাবারের মাধ্যমে সকলের সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। সেই অনুযায়ী তিনি মাস্ক পরোটা, করোনা ভাইরাসের আকারের ধোসা তৈরি করতে শুরু করেন। রেস্তরাঁ মালিকের আশা, এই ধরনের খাবারদাবার দেখলে সাধারণ মানুষ হয়তো একটু সচেতন হবেন। আবার বৈপরীত্য সাধারণ মানুষের একঘেয়েমি কাটাবে বলেও মনে করেন তিনি।
লকডাউনের সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল রেস্তরাঁ। আনলক পর্বে রেস্তরাঁ খুলেছে। খাদ্যরসিকরা আনাগোনা করছেন ঠিকই। তবে বিক্রি কমেছে বেশ খানিকটা। এই পরিস্থিতিতে মেনুর অভিনবত্ব ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে বলেই আশা রেস্তরাঁ মালিকের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।