দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে সংসদে অভিশংসন করা হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত সংসদের ভোটে ২০৪ জন আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে পক্ষে ভোট দিয়েছেন, যা তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থানকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। যদিও সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়েছে, এখনই তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হবে না। তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে দেশটির সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তে, যা আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইউনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর, ইউন সুক-ইওল একটি অপ্রত্যাশিত সামরিক আইন জারি করেন, যা দেশটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপ দেশের নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। তবে বিরোধীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং সংসদে ভোটাভুটির পর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইউন। এর পরই আদালত তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা তদন্ত শুরু করে এবং তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ইউনের ক্ষমতার মেয়াদ এখন আর কার্যকর নয়। তার নিয়োগকৃত প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেও ইউনের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না।
এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ ২০১৭ সালের পর আবারও একজন রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট সংসদে অভিশংসিত হলেন। গত সপ্তাহে প্রথম অভিশংসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও, পিপল পাওয়ার পার্টির অন্তত ১২ জন আইনপ্রণেতা বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার পর নতুন করে এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
এখন, সাংবিধানিক আদালত যদি অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেয়, তবে ইউন সুক-ইওলকে স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ করা হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।