মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এক নতুন সংকটে পড়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইরানের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এই সংকটের মাঝে দেশটি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। ইরান যে প্রক্সিদের ওপর ভর করে ইসরায়েলকে ভয় দেখাত, সেই প্রক্সি বাহিনীও এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে, ফলে ইরান একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল, যে কোনো সময় ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, কারণ ইরান মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদিও বিশ্বের বিভিন্ন পক্ষের কাছে এমন শোনা যাচ্ছে যে, ইরান কোনোভাবে ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই পৌঁছে দিয়েছে একটি "মাদারশিপ"।
জেরুজালেম পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন রিপাবলিকান দলের একজন কংগ্রেসম্যান, জেফ ভ্যান ড্রিউ, দাবি করেছেন যে, ইরান এক মাস আগে একটি মাদারশিপ লঞ্চ করেছে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে অবস্থান করছে। ওই মাদারশিপে তিনটি ড্রোন রয়েছে এবং সেগুলো সম্প্রতি নিউ জার্সির আকাশে উড়তে দেখা গেছে। তার মতে, এসব ড্রোন মার্কিন সামরিক স্থাপনার ওপর নজর রাখছে এবং ফ্লাশ লাইটের আলোর প্রদর্শন করে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এই দাবির পর আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, কংগ্রেসম্যান ড্রিউয়ের এমন দাবির মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেন, এই খবর “ভুল এবং মিথ্যা”।
ইরানের এই নতুন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কিত সম্ভাব্য অস্থিরতা এবং পশ্চিমা শক্তির প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, যা একদিকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলবে, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন অস্থিতিশীলতার সূচনা ঘটাতে পারে।
এদিকে, ইরানের মাদারশিপ ও ড্রোন ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বিবৃতি ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা পৃথিবীজুড়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।