আত্রাইয়ে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই প্রতিনিধি, নওগা:
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ ০৬:০৩ অপরাহ্ন
আত্রাইয়ে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

উত্তরের জনপদ নওগাঁর আত্রাইয়ে শীতের প্রাথমিক আবহাওয়া অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কারিগররা। শীতের আগমনে স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে, এবং প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অনেকেই পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতের জন্য দোকানে নিয়ে আসছেন। শীতের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ ও তোষকের চাহিদা অনেক বেড়েছে, যা এবছর বেশি পরিমাণে তৈরি হচ্ছে।


এছাড়া, বাজারের নানা দোকানেও বিক্রি শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেপ-তোষক। বিশেষ করে বেইলি রোড মোড়ের বেডিং হাউসের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তৈরির খরচ বেড়েছে। তিনি বলেন, "লেপ তৈরির তুলার দাম প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দামও বেড়েছে ১০ টাকা করে।" তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণও কমেছে। তবে শীত আসতেই ব্যবসার গতি বাড়ছে এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত বিক্রি চলতে থাকবে।


এছাড়া, আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও সাইদুল ইসলাম জানান, এবার তাদের ব্যবসা একটু স্লো শুরু হলেও শীত বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিক্রি বেড়ে যাবে। "অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে আমাদের ব্যবসা চলবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত," বলেন তারা।


বাজারের বিভিন্ন দোকানে শীতের পোশাক এবং লেপ-তোষক তৈরির জন্য কারিগররা একযোগে কাজ শুরু করেছেন। ফুল বাড়ি গ্রামের রত্না বেগম বলেন, "বাজারের পণ্যের দাম বেড়েছে, তবে শীতের জন্য লেপ তৈরি করতে খরচও বাড়ছে। আমি পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে তৈরি করার জন্য দোকানে নিয়ে এসেছি। তুলা, কাপড় এবং মজুরি মিলে ৭০০ টাকা খরচ হয়েছে।"


এদিকে, কারিগররা জানান, লেপ তৈরির জন্য মূলত কাপাস তুলা, সাদা তুলা, কালো সুতির তুলা এবং রাবিশ তুলা ব্যবহৃত হচ্ছে। বাজারে বর্তমানে কাপাস তুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কালো তুলা ২০-৪০ টাকা, এবং সাদা তুলা ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতের আগমনে লেপ-তোষক প্রস্তুতির জন্য আত্রাই উপজেলায় কাজের গতি বাড়লেও, স্থানীয় কৃষকরা শীতের কারণে নতুন সংগ্রামের মুখে পড়ছেন।  


আত্রাই উপজেলার ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী মাসগুলিতে বিক্রি বেড়ে যাবে এবং শীতের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।