মহিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী শাখার উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের জন্য ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাব ঠেকিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঠিক দাম নিশ্চিত করতেই এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মহিপুর বাজারে এই পণ্য বিক্রি করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের দাবি, বাজার সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। তারা অভিযোগ করেন, কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি নজরে আসার পর ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিন আলু প্রতি ২ কেজি ১২৫ টাকা, চিনির কেজি ১২৫ টাকা, পেয়াজ ৯০ টাকা, এবং মশুর ডাল কেজি ১০৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ কর্মসূচিতে মহিপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সদস্যবৃন্দ, এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, "আমরা মহিপুর ইউনিয়নের মানুষের জন্য একটি ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।"
মহিপুর গ্রামের বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। আব্দুস সালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে সব সময় পণ্যের দাম বেশি ছিল। কিন্তু আজকের এই উদ্যোগে আমরা কম দামে পণ্য কিনতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য উপকারি।”
আরেক ক্রেতা মো. কামাল হোসেন বলেন, "বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আমরা বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে বাধ্য হতাম। কিন্তু আজ এই উদ্যোগের ফলে তা কম মূল্যে পেয়েছি। এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ।"
কর্মসূচির প্রথম অংশে, জামায়াতে ইসলামী নেতারা বাজারের পণ্যের দাম পর্যালোচনা করে তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেন এবং তারপর ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। তারা জানান, এই কার্যক্রম নিয়মিত চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে এবং তা মহিপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্য সহায়ক হবে।
জামায়াতে ইসলামী মহিপুর শাখার এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তারা মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।