ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার (১১ নভেম্বর) ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী প্রচারের সময় এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খন্ডের জনজাতির মেয়েদের বিয়ে করলেও তাদের জমির অধিকার মিলবে না। তিনি এই মন্তব্যের মাধ্যমে ঝাড়খন্ডের বিজেপি বিরোধী দল ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং কংগ্রেস জোটকে নিশানা করেছেন, যারা তার মতে, এই অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করতে সহায়তা করছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় মহিলা বিয়ে করে জমি দখল করছে। তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে একটি কমিটি গঠন করে এসব অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে তাদের দখল করা জমি ফেরত নেব।’’
এর আগে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে একই সুরে কথা বলেন। গারওয়াতে এক নির্বাচনী প্রচারে মোদি বলেন, ‘‘ঝাড়খন্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখছে এবং দেশের জমি বিলিয়ে দিচ্ছে।’’
অমিত শাহের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, তার এই বক্তব্যে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং এটি একটি নির্বাচনী চাল যা জনজাতি সমাজের প্রতি অপমানজনক। তারা অভিযোগ করছেন যে, অমিত শাহ শুধু রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এসব বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। তবে বিজেপি বলছে, তারা রাজ্যে জমি দখল ও অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন দুর্নীতি মামলায় জেলে যাওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। তবে তিনি জামিন পাওয়ার পর আগস্টে বিজেপিতে যোগ দেন, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অমিত শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘চম্পাই সোরেনের অপমান নয়, এটি জনজাতি সমাজের অপমান।’’
বিজেপি নেতার অভিযোগ, জেএমএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং জনগণের স্বার্থকে নষ্ট করছে। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তারা এসব নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।