গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে গাজার মোট নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ২০০ এরও বেশি হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার, আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যাপক স্থল অভিযানে নেমেছে, যেখানে এদিন কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামলাগুলি মূলত গাজার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিমান হামলার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, এসব হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
গাজার পরিস্থিতির পাশাপাশি, লেবাননেও ইসরায়েলি হামলার কদর্যতা বাড়ছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ অন্যান্য স্থানে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই হামলাগুলোর লক্ষ্য হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও তার অবকাঠামো।
হিজবুল্লাহও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা দাবি করেছে, লেবাননের সীমান্তে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে তারা হত্যা করেছে। তবে এই সেনাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেনি গোষ্ঠীটি।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা হামলায় দেশটিতে মোট ২ হাজার ৮৬৫ জন নিহত এবং ১৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজা এবং লেবাননে চলমান সহিংসতার অবসানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সরকার হামলার কারণ হিসেবে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও অপারেটিভদের লক্ষ্য করার কথা উল্লেখ করেছে, কিন্তু এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই পরিস্থিতির অবসানে আলোচনা ও শান্তির প্রচেষ্টা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিশ্ববাসীর নজর রয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।