ভারতের পর সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২০শে অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
ভারতের পর সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট

তাইওয়ানের চারপাশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৃহৎ সামরিক মহড়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্সের একটি ব্রিগেড পরিদর্শনের সময় এই নির্দেশনা দেন তিনি। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম সিসিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শি জিনপিং এ সময় সেনাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এবং কৌশলগত দক্ষতা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।


শি বলেন, "সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে।" এর মাধ্যমে তিনি বাহিনীকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আরো বলেন, সেনাদের অবশ্যই কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে যাতে তারা দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে যুদ্ধে অংশ নিতে সক্ষম হয়।


চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির চারপাশে সামরিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। চীনা নেতারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, তারা তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে যেকোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগে দ্বিধা করবেন না।


তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টদের ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাইওয়ান মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তখন থেকেই এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার পরিচালিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। 


তাইওয়ান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রশাসনের চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের পর। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়ার পর চীন তাদের সামরিক মহড়ার মাত্রা বাড়িয়েছে।


শি জিনপিংয়ের সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান এটি প্রতিরক্ষা কৌশলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলে এর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে এশিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে। চীনের এই উদ্যোগগুলি কেবল দেশটির সামরিক শক্তিরই প্রতিফলন নয়, বরং একটি বড় রাজনৈতিক সংকটের পূর্বাভাসও হতে পারে।