বেনাপোল দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের নতুন চালান আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহিরুল ইসলাম মিলন
প্রকাশিত: রবিবার ২০শে অক্টোবর ২০২৪ ০১:০০ অপরাহ্ন
বেনাপোল দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের নতুন চালান আমদানি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাড়ে ৭ টাকা দরে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এই চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে মোট ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে।


সরকারের প্রথম ঘোষণার অংশ হিসেবে আগামী মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিমের আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের অনুমোদন অনুযায়ী, ঘাটতি পূরণে আরও সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে আসবে।


আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ডিমের দাম ৫ টাকা ৭০ পয়সা, কিন্তু শুল্কসহ মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে ৭ টাকার কিছু বেশি। তিনি অভিযোগ করেন, যদি আমদানি শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখা হতো, তাহলে বাজারে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেত। এজন্য তারা সরকারের কাছে পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিমের শুল্ক মওফুফের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।


এদিকে, কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। কাস্টম হাউজে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।


এই পরিস্থিতিতে, বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, শুল্ক মওফুফ না হলে সাধারণ মানুষের জন্য ডিমের প্রাপ্যতা কমে যেতে পারে। সরকার যদি এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে।


বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমদানিকারকরা দামে বাড়তি চাপের অভিযোগ করেছেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও বাজারের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা আবশ্যক।