মস্কোর অন্যতম মিত্র তালেবান, বললেন পুতিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা জুলাই ২০২৪ ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
মস্কোর অন্যতম মিত্র তালেবান, বললেন পুতিন

আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা সশস্ত্রগোষ্ঠী তালেবানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মস্কোর মিত্র বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ায় এই গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধ হলেও পুতিন বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে মস্কোর অন্যতম মিত্র তালেবান। কারণ তারা আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করছে।


কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০০৩ সাল থেকে তালেবানকে রাশিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকাভুক্ত করা হলেও বছরের পর বছর ধরে তালেবানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে মস্কো। গত মাসে তালেবান সরকারের সঙ্গে ‘‘সম্পর্ক গড়ে তুলতে’’ মস্কোর প্রতি নির্দেশ দেন পুতিন।


রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এই অর্থে তালেবান অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সহযোগী। কারণ যেকোনও কর্তৃপক্ষই তাদের শাসন করা দেশে স্থিতিশীলতার জন্য আগ্রহী।’’


দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে তালেবান। গত মার্চে মস্কোর এক কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ১৪০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে আইএস-কের যোদ্ধারা। গত প্রায় দুই দশকের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ছিল এটি।


পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর বিদায়ের পর ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপর ইসলামিক আইনের কট্টর বিধিবিধান কার্যকর করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠী। এর ফলে দেশটিতে নারীরা প্রায় জনজীবন থেকে নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছে।


পুতিন বলেছেন, তালেবান কিছু দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করলেও এখনও এমন অনেক সমস্যা রয়েছে; যা সমাধানের জন্য দেশের ভেতর ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে আফগানিস্তানে সবকিছুই স্থিতিশীল করতে তালেবান আগ্রহী।’’


আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থানের পর সম্প্রতি দেশটির সাথে নিজেদের সম্পর্ক উষ্ণ করেছে মস্কো। যদিও ১৯৮০’র দশকে সোভিয়েত আক্রমণের পর দুই দেশের সম্পর্কে জটিলতার ইতিহাস ছিল। এছাড়া তালেবানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে রাশিয়া।