যুদ্ধে ছারখার হয়ে যাচ্ছে দেশ। পাঁচ মাস কেটে গেলেও লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে শত্রুপক্ষ। প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু এহেন দুর্দশার মধ্যে দেশের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী মডেলিং করছেন একটি জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিনের জন্য! ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। নেটিজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতিদিন যেখানে হাজারের বেশি সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হচ্ছেন, সেখানে কী করে ফটোশুটে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপ্রধান?
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপরে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে দুই দেশের মধ্যে। ইউক্রেন ছেড়ে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সেই সময় নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ইউক্রেন ছেড়ে নড়েননি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। বরং যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সেনার কাজের তদারকি করেছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দেশের কথা তুলে ধরে ইউক্রেনের প্রতি সকলের সহানুভূতি আদায় করেছেন। তাঁকে প্রকৃত বীরের সম্মান দিয়েছেন সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ।
কিন্তু সেই ছবিটা পালটে গিয়েছে গতকাল। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে ফটোশুট করেছেন তিনি। বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের (Vogue) ডিজিটাল কভারের জন্য তাঁরা ছবি তুলেছেন। দেখা যাচ্ছে, হাত ধরে বসে রয়েছেন জেলেনস্কি দম্পতি। একে অপরকে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা, এমনটাও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সবচেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ওলেনার দুটি সিঙ্গল ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কৃত্রিম যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন ফার্স্ট লেডি।
এই ছবিগুলি প্রকাশ্যে আসার পরেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন জেলেনস্কি দম্পতি। এক নেটিজেনের মতে, “যুদ্ধে জয়লাভের একমাত্র উপায়- স্ত্রীর সঙ্গে ফটোশুট করি, এমনটাই ভাবছেন জেলেনস্কি।” আরেকজনের মতে, “যুদ্ধের সময় সেনারা শহিদ হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু নতুন প্রজন্মকেও তো প্রভাবিত করতে হবে। সে কারণেই ফটোশুটের রাস্তাই বেছে নিলেন জেলেনস্কি।” ফটোশুটের একটি বিহাইন্ড দ্য সিনস ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, খোশমেজাজে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন দম্পতি। তবে নিন্দার মুখে পড়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি জেলেনস্কি দম্পতি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।