ভারতের প্রশংসা করার জন্য শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ! মরিয়ম জানিয়েছেন, ভারতকে এতই পছন্দ হলে ইমরান খানের প্রতিবেশী দেশেই চলে যাওয়া উচিত। ইমরান খান ভারতকে ‘সম্মানবোধ থাকা মহান জাতি’ বলে প্রশংসা করার পরেই এমন মন্তব্য করেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ সহ-সভাপতি, পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, অনাস্থা প্রস্তাবের আগে শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান, অলৌকিক কিছু না ঘটলে তার টিঁকে থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি জানান, তিনি ভারতের বিরুদ্ধে নন এবং প্রতিবেশী দেশে তাঁর প্রচুর অনুগামী রয়েছে।
“কোনও অন্য শক্তি ভারতকে তার স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য করতে পারে না। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা (ভারত) রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। কেউ ভারতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা এখানে যা বলছেন, তাঁরা কি ভারতকেও একই কথা বলতে পারবেন?” প্রশ্ন তোলেন ইমরান এবং নিজেই জানান, ভারত একটি সার্বভৌম দেশ বলেই কেউ তাকে বাধ্য করতে পারে না।
ইমরানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে ‘পাগল’ বলে অভিহিত করেন মরিয়ম। “ক্ষমতা চলে যেতে দেখে যিনি পাগল হয়ে গেছেন তাঁকে কেউ বলুক যে তাঁকে তাঁর নিজের দলই বহিষ্কার করেছে, অন্য কেউ নয়।” ৪৮ বছর বয়সী PML-N নেত্রী মরিয়ম বলেন, “আপনার যদি ভারতকে এতটাই পছন্দ তবে সেখানেই চলে যান, পাকিস্তানের জীবন ত্যাগ করুন।”
বিরোধী দলগুলিকে অবাক করে দিয়ে ভারতের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, এই ঘটনা নতুন নয়। গত সপ্তাহেই ইমরান ভারতের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন।
৬৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ ৩৪২-সদস্যের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। দেশের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ইমরান খান যাকে অনাস্থা ভোটে সরানো হবে। পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীই এখনও পর্যন্ত পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেননি।
আরও পড়ুন-জাগবে না আর, তবু ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃত মালিকের দেহের পাশে অপেক্ষায় পোষ্য সারমেয়!
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নতুন সরকার গঠনের জন্য বিরোধীরা নিজেদের প্রাথমিক আলোচনা শেষ করেছে। শুক্রবার দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আলভিকে অপসারণ এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে।
৭০ বছর বয়সী শেহবাজ বিরোধী দলের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। তিনি শপথ গ্রহণের পরই তাঁর সম্ভাব্য সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়ে ঘোষণা করবেন। নতুন সম্ভাব্য ফেডারেল সরকারে সমস্ত বিরোধী দলকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।