ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে বিমান হামলায় নাবিক হাদিসুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকার রুশ দূতাবাস। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান মিসাইল হামলায় নিহত হয়েছেন। আমরা নিহত নাবিকের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। বন্দর থেকে বাংলাদেশি জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতে রাশিয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে৷”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ডেটা পর্যবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে বলেছে, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা পিছু হটার সময় নির্বিচারে গুলি চালায়। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের ধরে নিয়ে যায়, তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এটা সন্ত্রাসীদের কৌশল হিসেবেও সুপরিচিত।
দূতাবাস জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে উদ্ভূত মানবিক সমস্যা সমাধানে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হটলাইন চালু করেছে। হটলাইন নম্বর +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪২-১১ ও +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪৭-০৯। এ ছাড়া ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগেরও অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনের জলসীমায় আটকে পড়েছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) এই জাহাজটি। এতে ২৯ জন নাবিক ছিলেন বলে বিএসসি সূত্রে জানা গেছে।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, সিরামিকের কাঁচামাল 'ক্লে' পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর দেশটির বন্দরগুলোতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি জাহাজটির মতো আরও কয়েকটি জাহাজ সেখানে আটকা পড়েছে।
রোববারও (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটি ওই বন্দরের সামনে নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। জাহাজটি অলভিয়া বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।
এরপর জাহাজের একাধিক নাবিক নিজেদের ফেসবুক পেজে পরিস্থিতি জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তারা উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে সহায়তা চেয়েছিলেন। এরই মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।