বার্সেলোনা থেকে গত আগস্টে পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকে প্যারিসের যে হোটেলে থাকছেন মেসি, সেটিতে গত বুধবার রাতে ডাকাতি হয়েছে। উল্লেখ্য দুই দশকেরও বেশি সময়ের বন্ধন ছিন্ন করে লিওনেল মেসি পাড়ি জমিয়েছেন আইফেল টাওয়ারের দেশে।
প্যারিসে মেসি ও তার পরিবার থাকছে লে রয়্যাল মনসো হোটেলে। আর ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে মেসিরা হোটেলের যে অংশে থাকেন, তার ঠিক ওপরের তলায়! যদিও মেসি ও তার পরিবারের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে অন্য কয়েকটি কক্ষ থেকে লাখ লাখ টাকার অলংকার ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। মেসি ও তার পরিবার থাকে ভবনের পঞ্চম তলায়!
প্যারিসের লে রয়্যাল মনসো পাঁচ তারকা হোটেলের ছাদের দিকের একটি ব্যালকনির দরজা দিয়ে ঢুকেছে ডাকাতেরা। মুখোশে ঢাকা ছিল সবার মুখ। ভবনের ছাদ থেকে নিচে নেমেছে ডাকাতেরা, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের ছয়তলার ব্যালকনির একটা খোলা দরজা দিয়ে মুখোশধারী দুজন ঢুকেছে হোটেলে।
হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়া এক নারী অতিথির ৩ হাজার পাউন্ডের দামি নেকলেস, ২ হাজার পাউন্ড ও ৫০০ পাউন্ড দামি কানের দুলও নিয়ে গেছে ডাকাতেরা!
ডাকাতির শিকার ওই নারী আরও জানান, বিলাসবহুল ও নিরাপদ জায়গায় থাকার লক্ষ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ দেয়ার পর যখন আপনার কক্ষে কাউকে ঢুকে পড়তে দেখবেন, সেটা খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশ আমাদের বলেছে, তারা ছাদের সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যাগ হাতে থাকা দুজন লোককে দেখেছে। কিন্তু ওই লোকগুলো কারা, সেটা শনাক্ত করতে পারেনি।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, এটা পরিষ্কার যে নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ফাঁক বের করেছে ডাকাতেরা। তদন্ত চলছে এ নিয়ে। যে প্রমাণাদি পেয়েছি আমরা, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিজ্ঞ একটা ডাকাত দল কাজটা করেছে।
ঘটনার পর থেকে হোটেলের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সাময়িক সমাধান হিসেবে সপরিবারে প্যারিসের লে রয়্যাল মনসু হোটেলে থাকছেন মেসি। প্রতি রাতে ১৭ হাজার পাউন্ড ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। সূত্র: দ্য সান
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।