বর্তমানে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস এতটাই দুর্বল যে, ৪-জির জায়গায় ৩-জি পাওয়া দুষ্কর। এমতাবস্থায় বিটিআরসি ও সরকারের ৫-জি চালুর সিদ্ধান্ত হবে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এমন অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারলাম বিটিআরসি ৫-জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ খবরে সবচাইতে খুশি হবার কথা আমাদের। কিন্তু খুশি না হয়ে আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ৪-জি চালুর সময় টেলিযোগাযোগের যে অবস্থা ছিল বর্তমানে তা নেই। ৪-জি চালুর ১৭ মাস পার হলেও সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৪-জি দূরে থাক ৩-জি নিশ্চিত করা যায়নি। সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ৬৪ ভাগ মার্কেট দখলকারী গ্রামীণফোন ও রবির বিরুদ্ধে পাওনা নিয়ে ঝামেলা শেষ হয়নি।’ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিটিআরসি তাদের ব্যান্ডউইথ ও এনওসি বন্ধ করার ফলে গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত। এখন কোয়ালিটি অব সার্ভিস যদি মাপা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কোনো সময়ের চাইতে অনেক নিম্নমানের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা একদিকে পাওনা আদায়ের জন্য অপারেটর দুটি লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আবার অন্যদিকে ৫-জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। বিষয়টি এমন যে, যে ডালে বসে আছেন সে ডালই আপনি কাটছেন।’
তিনি বলেন, ‘অপারেটরদের এখন পর্যন্ত স্পেকট্রাম আছে ৩৫ মেগাহার্জ অথচ ৫-জিতে লাগবে প্রায় ১০০ মেগাহার্জ। এখন পর্যন্ত সবচাইতে বড় স্ট্রেকহোল্ডার গ্রাহকদের সাথে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আলোচনা করেনি। এমতাবস্থায় যদি ৫-জি চালু করা হয় তা হবে শুধু কাগজে কলমে। এটি একদিকে যেমন হাস্যকর অন্যদিকে গ্রাহকদের সাথে তারণা ছাড়া কিছুই না।’
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।