প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫৭

রাজধানীর বাইরে গ্রাম-গঞ্জেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। তবে প্রতিরোধমূলক উদ্যোগে যথাযথ তৎপরতা না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে (শনি থেকে শুক্রবার) দেশে ডেঙ্গুতে ২১ জন মারা গেছেন। এ সময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৯৮৩ জন রোগী।
দিনভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর দেশে কারও মৃত্যু হয়নি, তবে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৮২ জন। ২১ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১২ জন মারা যান এবং ভর্তি হন ৭৪০ জন রোগী।
২২ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু হয় এবং ভর্তি হন ৬৭৮ জন। ২৩ সেপ্টেম্বর একজন মারা যান, একই দিনে ৬৬৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
২৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচে এবং হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৬৮ জন। ২৫ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু হয় এবং ভর্তি হন ৬৩২ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর কোনো মৃত্যু না হলেও ২১৯ জন রোগী নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হন।

চলতি বছরের সামগ্রিক চিত্রও উদ্বেগজনক। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭৮ জন। তবে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৮ জন।
রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি জেলার উপজেলা ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। অনেক জায়গায় বেড সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা ছিল শুরু থেকেই। যথাসময়ে এডিস মশা নিধনে উদ্যোগ না নেওয়ায় এখন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
তাদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা, গণসচেতনতা এবং স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলো আরও চ্যালেঞ্জের হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।