টেকনাফে সাড়ে চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার: পাচারকারীরা পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির,নিজস্ব প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বুধবার ২২শে জানুয়ারী ২০২৫ ১২:০৭ অপরাহ্ন
টেকনাফে সাড়ে চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার: পাচারকারীরা পলাতক

টেকনাফ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সাড়ে চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে অভিযানের সময় কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  


জানা যায়, মায়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান লেদা বিওপির সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে গোপন সূত্রে তথ্য পায় বিজিবি। এ সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াপাড়া বিএসপিতে স্থাপিত ফাউন্ড রাডারের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি চালানো হয়।  


মঙ্গলবার রাতের দিকে মেম্বার পোস্ট এলাকায় বিজিবির দুটি টহলদল অভিযান শুরু করে। নাফ নদীর তীরে অবস্থানরত পাচারকারীদের একটি দল বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের মধ্যে কয়েকজন বস্তাসহ নদী সাঁতরে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।  


অন্যদিকে, পাচারকারীদের আরেকটি দল কয়েকটি বস্তা নিয়ে আলিখাল এলাকায় পালানোর চেষ্টা করে। বিজিবি তাদের পিছু নিলে তারা রাতের আঁধারের সুযোগ নিয়ে খরেরদ্বীপ হয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করে। পালানোর সময় বস্তাগুলো তারা বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রেখে যায়।  


পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ফেলে রাখা বস্তাগুলো থেকে সাড়ে চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাচারকারীরা সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্য, যারা মায়ানমার থেকে মাদক বাংলাদেশে আনতে সক্রিয়।  


বিজিবি জানিয়েছে, মাদক বহনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাদক পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  


মাদক পাচার রোধে বিজিবি ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণকে সহায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  


টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা পাচার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিজিবির এ ধরনের সফল অভিযান মাদক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে পাচারকারীদের পুরো চক্র ধ্বংস না করা পর্যন্ত মাদক সমস্যার স্থায়ী সমাধান অসম্ভব।  


মাদকবিরোধী কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ সফল অভিযানের পর বিজিবি সদস্যরা মাদক পাচার চক্রের শিকড় উৎখাতের অঙ্গীকার করেছেন।