বরিশালসহ বিভাগের ছয় জেলায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জেলাসহ সকল উপজেলায় শনিবার সকাল থেকে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়েছে। তবে দিন শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় অনুমোদনকৃত ডায়াগনস্টিকের সংখ্যা ৫৭২টি, আর ক্লিনিকের সংখ্যা ২১১টি। অথচ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট এক হাজার ১০৫টি বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতাল, প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। ৩২২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র নেই।
জানা গেছে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে ৫৬টি, লাইন্সেস পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের অপেক্ষায় রয়েছে ৬৪টি এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ৭১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২২টি, লাইসেন্স পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের অপেক্ষায় রয়েছে ১৩টি এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ২০টি।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান জানান, প্রত্যেকটি উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। তবে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। অবশ্য বানারীপাড়া উপজেলার চাখারে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযানে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ হুমায়ুন শাহীন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে প্রত্যেক জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।