পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে জমি দখল, জোর জুলুম সহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপি।
বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০ টায় পৌর বিএনপি'র সভাপতি আলহাজ্ব আঃ আজিজ মুসুল্লী কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সহ অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লি বলেন, আমি
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন অপরাজনীতি করি নাই। এমনকি আমার অনুসারী কোন ব্যক্তি যাতে অপরাজনীতি করতে না পারে সেদিকে সর্বদা সচেতন আছি। গত ০৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের লোকজন আত্মগোপনে চলে গেছেন। মাঠ পর্যায়ে বিএনপি'র নেতাকর্মীরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগীতা করছেন। তবে বিএনপি'র কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সালিশ বানিজ্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক সংঘঠিত সমস্যা সমাধান করবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
কিন্তু কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী আঃ রশিদ মোল্লা বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্নভাবে অন্যায় ভাবে অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড পিলার স্থাপন করে বাণিজ্য করে আসছিলো। তার পুত্র আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক (২) দায়িত্ব পালন করছেন। গত ০৫ আগষ্টের পর তার ছেলে আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি'র সুনাম নষ্ট করছেন। পিতা-পুত্র মিলে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জমিতে সাইনবোর্ড ও পিলার স্থাপন করে আসছেন। এতে দলের ভাব মূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি মহিপুর থানা পুলিশের অনুরোধে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পেট্রোল পাম্পের পিছনের একখন্ড জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান হাওলাদার এবং ওয়ার্ড বিএনপি'র নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমি দখল বাণিজ্যের সাথে জড়িত কয়েকজনকে রাগারাগি করেছি এবং কয়েকটি পিলার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। কারণ কাগজপত্র বলে আদালতের সিদ্ধান্তে অনুযায়ী জমিতে সাইনবোর্ড পিলার স্থাপন করতে হবে। এই বিষয়টি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক (২) আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার আপন ছোট ভাই মোঃ মঞ্জু মোল্লা উদ্দেশ্য প্রণিতভাবে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ক্যাপশন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যাতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন সহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে দখল বাণিজ্যের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বাবা ২০০৪ সালে ২ শতাধিক লোক নিয়ে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। এরপর তিনি কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের সদস্য।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।