এবারের মার্চ মাসে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের তুলনায় উত্তপ্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২ মার্চ) জানানো হয়, চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপ সৃষ্টির কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
পূর্বাভাসে বলা হয়, মার্চ মাসের শুরু থেকেই দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকতে পারে। মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই তাপপ্রবাহ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি ও মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে এই মাসে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২ থেকে ৩ দিন বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস রয়েছে। এই ঝড়ের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এসব ঝড় সাধারণত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সীমিত রেখে থাকে।
মার্চ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে, নদীভাঙন বা বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এদিকে, কৃষি খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে এই তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে। বিশেষ করে কৃষকরা যদি আগে থেকে প্রস্তুত না থাকেন, তবে আবাদী ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তবে, আবহাওয়া অধিদপ্তর কৃষকদের জন্য কিছু পরামর্শ প্রদান করেছে যাতে তারা শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়ে নিজেদের ফসল রক্ষা করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।