বিসিএস ব্যতীত সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি-২ শাখা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব নন-ক্যাডার পদের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নবম ও দশম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১১ ও ১২তম গ্রেডের জন্য ১৫০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিটি গ্রেডে ৫০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড অনলাইন সেবা প্রদান করবে। সংগৃহীত ফি থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন টেলিটক পাবে এবং এর উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা হবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, টেলিটক ফি সংগ্রহের তিন কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ জমা দেবে।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা। এর সাথে ১০ টাকা কমিশন এবং ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাটসহ পরীক্ষার্থীর মোট ব্যয় হবে ১১২ টাকা।
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কোড ব্যবহার করে সরকারি কোষাগারে চালানের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারের মাধ্যমেও আবেদন ফি সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগের সব নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন নির্দেশনা মেনে আবেদন ফি সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সরকারের এই উদ্যোগ পরীক্ষার্থীদের জন্য আর্থিকভাবে কিছুটা স্বস্তি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য আবেদন ফি হ্রাস একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।