বরিশালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই ছাড়াই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিক উৎসব ছাড়াই কিছু বই বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজের উদ্যোগে বই বিতরণ করেছে, তবে সব বই এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বুধবার সকালে নগরীর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই বিতরণ করে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো বই উৎসবের আয়োজন করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন জানান, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বই এসে পৌঁছেছে এবং সেগুলো বুধবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি এবং মাদরাসার ১ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৯৪৫টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এসব বই বরিশালের ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৬৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে।
বই বিতরণে ধীরগতির ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রমে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে শিক্ষকদের আশঙ্কা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে অবশিষ্ট বই দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অনুষ্ঠানের সময় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাঠদানের পরিবেশে বইয়ের ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন। নতুন শিক্ষাবর্ষের পরিকল্পনামাফিক শুরু হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে বলে মত দেন অভিভাবকরাও।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।