মাদারীপুরের কালকিনিতে চাচাতো ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে চাচাতো ভাই খুন হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ(১১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ফযর নামাজের পরে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ গ্রামের বালু ব্যবসায়ী স্বপন হাওলাদারের সাথে একই বাড়ির বালু ব্যবসায়ী দেলোয়ার হাওলাদারের ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বে জেরে গতকাল সন্ধ্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার ফযর নামাজ শেষে স্বপন হাওলাদার বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ির সামনে পৌছালে দেলোয়ার হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার, মনির হাওলাদার, খলিল হাওলাদার ও হারুন হাওলাদার পিছন থেকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে আত্ম চিৎকার দিলে চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হাওলাদার ও চাচা কালু হাওলাদার উদ্ধার করতে গেলে তাদের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন এবং তাদেরকে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে ফেলে রাখেন।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করলে,বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সাজ্জাদ হাওলাদার (২৫) মারা যান। নিহত সাজ্জাদ হাওলাদারের পিতা কালু হাওলাদারের অবস্থা আশংকা জনক। আহত স্বপন হাওলাদারকে বরিশাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে মারা যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য এলাকাবাসী হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেলোয়ার হাওলাদারকে আটক করেন এবং ঘটনা স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেন। আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ নিহত সাজ্জাদ হাওলাদারের মরদেহ বাড়িতে পৌছাবে বলে জানান নিহতের ছোট ভাই রিফাত হাওলাদার।
এ ব্যপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সরকার আবদুল্লাহ মামুন বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক এক জন'কে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং ঘটনা স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।