ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোর ৯ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১১ই ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৪ অপরাহ্ন
ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহোর ৯ বছরের জেল

ইতালির একটি আপিল আদালতের রায়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার রবিনহোর ৯ বছরের কারাদন্ড বহাল রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি কম বয়সী মেয়েকে সংঘব্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তি দিয়েছে আদালত।২০১৩ সালে ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর মিলানের একটি নাইট ক্লাবে আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। যে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন রবিনহো এবং তার বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকো। ওই নারী সেই ক্লাবে তার ২৩তম জন্মদিন পালন করছিলেন সেদিন। রবিনহো তখন এসি মিলানের হয়ে ইতালিতে খেলতেন।

এই ঘটনায় ২০১৭ সালে ইতালির একটি আদালত রবিনহোর বিরুদ্ধে ৯ বছরের কারাদন্ডাদেশ ঘোষণা করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ইতালির একপি আপিল আদালত সেই ৯ বছরের কারাদন্ডের রায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন।সেই নারীর আইনজীবী ইয়াকোপো জিনোচ্চি বলেন, ‘এই শাস্তি নারীদের রক্ষা করা এবং নিয়ম-নীতি যে প্রয়োজনের সময় কার্যকর তার একটি উদাহরণ হিসেবে স্থাপিত হবে।’২০১৭ সালে সেই রায়ের পর থেকেই ইতালি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় রবিনহোর। জেলের শাস্তি এড়াতে ইতালিতে গিয়ে খেলার চিন্তা বাতিল করেন দেন। তবে শাস্তি এড়াতে পারলেও ব্রাজিলের ফুটবলেও ঠাঁই হচ্ছে না রবিনহোর।

চলতি বছরের অক্টোবরে ৩৬ বছর বয়সী রবিনহোকে দলে নিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস। কিন্তু এরপরই তুমুল প্রতিবাদ ওঠে যে, রবিনহো ধর্ষক। আর ধর্ষককে পূনর্বাসন করছে সান্তোস। এমন প্রতিবাদের ফলে ব্রাজিলিয়ান ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয়।সান্তোস ওই সময় তাদের বিবৃতিতে বলেছিল, ‘ইতালিতে যে মামলা বিচারাধীন, তার অগ্রগতি কি হয় আমরা সেদিকে তাকিয়ে। সেখানে যদি ভালো কোনো রায় আসে তাহলে আমরা তাকে আবার দলে নেবো। আর যদি ভিন্ন কিছু হয়, তাহলে আমরাও আর সিদ্ধান্ত পাল্টাবো না।’

২০১৪ সালেই মিডিয়ায় প্রচার হয়ে যায়, ধর্ষণের দায়ে রবিনহো অভিযুক্ত এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপরই কিন্তু ব্রাজিলিয়ান এই তারকা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।২০০৯ সালেও রবিনহোর বিরুদ্ধে একবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলার সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, লিডসের একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। যে কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন এবং অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।