দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের চারটি আসনের ১৮ প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়। নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
সেই হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসনে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেছেন। ওই আসনে জামানত হারাচ্ছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কে এম জাহাঙ্গীর মাজমাদার। তার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ১৬১। এই তালিকায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মনিকা আলম। তিনি পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট। সতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। এছাড়া এনপিপি প্রার্থী মোঃ আনিচুর রহমান পেয়েছেন২৩৮ ভোট। ঝিনাইদহ-১ আসনে চারজন প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়েছে।
ঝিনাইদহ-২ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯১। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন ন্যাপ প্রার্থী খন্দকার হাফিজুর রহমান ফারুক। তার প্রাপ্ত ভোট ২৪২। কল্যাণ পার্টি প্রার্থী মো. আব্দুল হান্নান খাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৯৬, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. জামরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ২৫৬, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নজরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ১২৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ নাছির উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ৬৮০, জাসদ প্রার্থী মোঃ ফজলুল কবিরের প্রাপ্ত ভোট ৫২৬, জাপা প্রার্থী মোঃ মাহফুজুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ৭৯৮, এনপিপি প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মিজু বিশ^াসের প্রাপ্ত ভোট ৫৯৪ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শরিফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দারের প্রাপ্ত ভোট ১৭৬।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৯। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাংবাদিক আব্দুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ২১৯১ ও সতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নবী নেওয়াজের প্রাপ্ত ভোট ৫৯৪।
ঝিনাইদহ-৪ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ৬১৯। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু। তার প্রাপ্ত ভোট ১৩০৬ এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী নুরউদ্দিন আহমেদের প্রাপ্ত ভোট ৬১৪।
ঝিনাইদহ জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার রোকুনুজ্জামান রোকন মঙ্গলবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।