আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসি বেশ সরগরম। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই এটি স্থগিত করতে নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাবেক দুই সদস্য। তারা হলেন- মো. সোহেল খান ও মো. হোসেন লিটন। তাদের পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। জানা গেছে, নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানানো হয়েছে।
ওই দুই সদস্যের অভিযোগ, সমিতির আগের মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিপুল সংখ্যক সদস্যদের ভোটাধিকার খর্ব করেছে এবং গঠনতন্ত্রের নীতির বাইরে অন্য সদস্যদের ভোটাধিকার প্রদান করেছে। নোটিশে শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের আসন্ন নির্বাচন স্থগিত করার ৯টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করার পরও সোহেল খান ও হোসেন লিটনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে এইচ আর অন্তর ও আরিযান শাহ একটি এবং শ্রাবণ নামের একজন অভিনেত্রী দু’টি সিনেমা করলেও তাদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ভোটার তালিকায় নেই। ‘বিশেষ কারণে’ গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কমিটি ভোটার তালিকায় তাদের নাম অপসারণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার এ ধরনের কোনো আইনি নোটিশ পাইনি। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। তাই নোটিশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ অক্টোবর শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবার ১৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭ জন প্রার্থী। সমিতির সর্বশেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবারও প্যানেল নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে মিশার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদের বিপক্ষে লড়ছেন ইলিয়াস কোবরা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।