
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ৪:২১

‘নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। আর্থিক অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য আট লাখ টাকার ফান্ড করেছিলাম। অনেকেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে রাজি হননি। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন কমিটির সদস্য ফেরদৌস ও সহ-সভাপতি রিয়াজ।’
মূলত তাদের অভিযোগের বিপরীতে কথা বলতে গিয়ে জায়েদ খান বলেন, রিয়াজ-ফেরদৌস ভাইয়ের মত সিনিয়র শিল্পীরা টাকা নিয়েছে যার ফলে অনেক জুনিয়র শিল্পীরা টাকা নিয়েছে। তারা না নিলে হয়তো জুনিয়র শিল্পীরা নিতো না। কোনো শিল্পী মারা গেলে হাসপাতাল কিংবা জানাজায় রিয়াজ ভাই ও ফেরদৌস ভাইয়ের কাউকে দেখা যায়নি। কিন্তু এসময় গুলোতে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে তাদের দু’জনকে বারবার এসএমএস দেয়া হয়েছিল। এসময় চিত্রনায়ক ফেরদৌসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাই আপনি কিছুদিন আগে কলকাতায় গিয়ে বিজেপির নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। সেটা কতটুকু যৌক্তিক ছিল। আপনার জন্য অন্যান্য শিল্পীরা কলকাতার ভিসা পায় না।
শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করতে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার আজ ধ্বংসের পথে উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচন, সাধারণ সম্পাদকের আসনে না থাকলে আমার ক্যারিয়ার বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে অনেক ভালো হতো। গত দুই বছরে ৪-৫টা ছবি মুক্তি পেত। সমিতিকে ভালোবাসার কারণে আমার ক্যারিয়ার পিছিয়েছে। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। শিল্পীরা যাকে ইচ্ছে ভোট দেবেন। আমি যদি হারি, যিনি জিতবেন তার গলায় মালা পরিয়ে দেব। পরদিন থেকে আবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।

ইনিউজ৭১/জিয়া