
প্রকাশ: ৭ মে ২০১৯, ২১:৪২

আর নেই নন্দিত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। টানা ২২ দিন পর গতরাত (৭ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েছেন, চিরতরে। সুবীর নন্দী যাওয়ার আগে কাটিয়ে গেছেন একটি পূর্ণাঙ্গ, পরিচ্ছন্ন ও সফল জীবন। কাছের মানুষদের কাছে বলে গেছেন, তার মৃত্যুতে যেন কেউ না কাঁদেন। সুবীর নন্দীর মেয়ের মতোই ছিলেন কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। মৃত্যুর খবরটি পেয়ে অন্য অনেকের মতো তিনিও বিমর্ষতায় ডুবে যান। স্মৃতি থেকে উদাস কণ্ঠে বলেন, ‘‘সুবীর কাকার সাথে আমি আর সুমা (সামিনা চৌধুরী) ‘ফেরারী বসন্ত’ ছবিতে গান করেছিলাম। ছবিতে বাবা এবং দুই কন্যার কণ্ঠে গানটি ছিলো। বাবার কণ্ঠ দিয়েছেন সুবীর কাকা আর দুই মেয়ের কণ্ঠ দিয়েছি আমরা দুই বোন। কাকার সঙ্গে এই গানটি গাওয়া আমাদের কাছে সৌভাগ্যের মতোই ছিলো।’’
ফাহমিদা আরও বলেন, ‘সুবীর কাকা আব্বার (কিংবদন্তি শিল্পী মাহমুদুন্নবী) গানের ভক্ত ছিলেন। আব্বাকে অনুসরণ করতেন। আব্বার ১০টি গান দিয়ে একটি অ্যালবামও করেছেন তিনি। সেই তখন থেকে কাকার প্রতি আমাদের ভক্তি ছিলো বাবা আর সন্তানের মতো। সবসময় আমাদেরকে তিনি মা বলে ডাকতেন, যেমন ডাকতেন তার একমাত্র সন্তান মৌকে।’
স্মৃতি হাতড়ে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘‘আমি ‘সুরের আয়না’ নামের একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম। সেটির প্রথম পর্বে সুবীর কাকাকে পেয়েছিলাম। সেই পর্ব করতে গিয়ে কাকাকে নানান কথা জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেয়েছিলাম। বললাম, কাকা প্রতিটি মানুষের কতরকমের ইচ্ছা থাকে। আপনার একটা ইচ্ছার কথা বলেন। এমন প্রশ্নের জবাবে একটু আবেগ ভরা কণ্ঠে সুবীর কাকা বলেছিলেন একেবারে অচেনা অসাধারণ একটা কথা। যেমন কথা আমরা সচরাচর শুনি না। তিনি আমাকে বললেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা, মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে। আমি চাই আমার শবদেহের কাছে এসে সবাই যেন গান শোনায়।’’

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব