বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে শিশু সাফওয়ান (৫)-এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন এবং লোকমান চৌধুরীর ছেলে রুমান চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত সাফওয়ান ওই গ্রামের ইমরান শিকদারের ছেলে। স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বুধবার দুপুরে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়ে সাফওয়ান নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাফওয়ানের দাদা বারেক শিকদার।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পেছনের একটি জমিতে সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যার বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। নিহত সাফওয়ানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকমান চৌধুরীর বসতবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আলামত উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন এবং লোকমান চৌধুরীর ছেলে রুমান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাফওয়ানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর দীর্ঘদিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের মতে, এ বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
অন্যদিকে, আটককৃত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেছেন, তাকে বিনাকারণে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শিশু হত্যার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে।
শিশু সাফওয়ানের হত্যার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নজরদারি চালাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।