মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের লেভেলক্রসিং এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রের নাম সাম্য দে (১৬)। তিনি শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সাম্য দে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী রিতা দে এবং প্রবাসী সুব্রত দে’র একমাত্র সন্তান। তার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার কামালপুর এলাকায় হলেও তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন। তার নানা বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের ভীমশী গ্রামে।
সাম্য তার সহপাঠীদের সঙ্গে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিল। সহপাঠী ফরহান দেওয়ান জানান, “আমরা পাঁচজন বন্ধু মিলে লাউয়াছড়া বনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় আমার বন্ধু সাম্যের মৃত্যু হয়।”
শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী জানান, সাম্য দে ছিল স্কুলের মেধাবী ছাত্র। তিনি বলেন, “সাম্য তার বন্ধুদের সঙ্গে লাউয়াছড়া উদ্যানের ভিতর দিয়ে ট্রেনের সাথে ছবি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ট্রেনের ধাক্কায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, সিলেট-চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনের ইঞ্জিন সিলেট রেল স্টেশনে বিকল হয়ে পড়েছিল। এরপর আখাউড়া থেকে একটি নতুন ইঞ্জিন সিলেট যাচ্ছিল। সেই ইঞ্জিনের ধাক্কায় সাম্য গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, “ঘটনার পর আমরা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। ছেলেটি লাউয়াছড়া বনে ট্রেনের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।”
এ দুর্ঘটনায় স্থানীয়রা শোকাহত। সহপাঠী ও শিক্ষকরা তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।