আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিষেকের আগেই গাজায় হামাসের কাছে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তি চান তিনি। মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ভয়াবহ পরিণতির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকটে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে যাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য সবাই আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু শুধুই কথার ঝড় উঠছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।"
তিনি আরও যোগ করেন, *“২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমার অভিষেক। যদি তার আগে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে এমন আঘাত হানবো, যা আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত, তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।”
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান নেতা লিন্ডসে গ্রাহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকার। তিনি চান, অভিষেকের আগেই এ ইস্যুতে সমাধান আসুক।
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট ও ট্রাম্পের উদ্যোগ
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের আকস্মিক আক্রমণে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৪২ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হামাস এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ১০৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করলেও ১০১ জন এখনো বন্দি রয়েছেন।
অভিষেকের আগে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে চান। বিশ্লেষকদের মতে, তার কড়া অবস্থান বর্তমান সংকট সমাধানে কার্যকর হতে পারে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এমন হুঁশিয়ারি আরও সহিংসতা উস্কে দিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।