ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই লাড্ডুর তৈরি ঘিয়ে'র পরিবর্তে গরু, শুকর এবং মাছের চর্বি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি করেছেন, সাবেক YSR-কংগ্রেস পার্টির আমলে এই কাজটি শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, "এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে আহত করে।" মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রাজ্য সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিতর্কটি ইতোমধ্যেই সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক তথ্য চান।
মন্দিরের লাড্ডু বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় প্রসাদ এবং এর স্বাদ ও গুণগত মানের জন্য সারা দেশজুড়ে খ্যাত। তবে চর্বি ব্যবহারের এই অভিযোগ প্রার্থীদের এবং ভক্তদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা এবং বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অনেকে ধর্মীয় অনুভূতির সাথে খেলা করার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ এখনো এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভক্তদের মাঝে অসন্তোষ স্পষ্ট। অনেক ভক্ত অভিযোগ করেছেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ ধর্মীয় রীতিনীতি ও আচার-আচরণকে অবমাননা করে।
এদিকে, তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুর প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এখন লাড্ডু গ্রহণে সংক্ষিপ্ততা বজায় রাখতে চাইছেন। এ ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে এবং এটি সামনের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এই বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত একটি সঠিক রিপোর্ট উপস্থাপন করার কথা বলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।