বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিতে অংশ নিচ্ছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি)। সোমবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি নাকোচ করে দিয়েছে। তারা চাচ্ছে না কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষায় অংশ না নিতে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ও ইউজিসিতে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিলো তাদের সামনে সেসব বিষয় তুলে ধরেছিলাম। সেই বিষয় নিয়ে সবার মতামত নেওয়া হয়েছে। সবাই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার মতামত দিয়েছে।
উপাচার্য আরো বলেন, তাদের মতামত অনুযায়ী, ঢাবি, জাবি, বুয়েট যেখানে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না সেখানে রাবির মত বড় বিশ্ববিদ্যালয় কেন যাবে। এমন যুক্তি তুলে ধরেছে একাডেমিক কাউন্সিল। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় সেভাবেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষকরা এমন সিন্ধান্ত নেওয়া বিষয়ে কেমন যুক্তি তুলে ধরেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা শুধু অর্থ বা সময়ের চিন্তা করে কেন সমন্বিত পরীক্ষায় অংশ নিবো। ভর্তি পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের থাকার সুন্দর ব্যবস্থাও ছিলো। এইটুকু সুবিধা নিতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা নিলে মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মান হবে একরকম আর নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান হবে অন্যরকম বলে যুক্তি দেখিয়েছেন।
শিক্ষা পরিষদের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল আলম খান বলেন, আমরা যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেই তা শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরাপদ। কিন্তু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে এভাবে পরীক্ষা নিতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তো এক নয়। তাই আমরা চাই আগে নিরাপদ ভর্তি পরীক্ষা কিংবা আমাদের চেয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা নেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হোক, তবেই আমরা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যেতে পারি। তার আগে নয়।
শিক্ষা পরিষদের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল আলম খান বলেন, আমরা যেভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেই তা শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরাপদ। কিন্তু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে এভাবে পরীক্ষা নিতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তো এক নয়। তাই আমরা চাই আগে নিরাপদ ভর্তি পরীক্ষা কিংবা আমাদের চেয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা নেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হোক, তবেই আমরা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যেতে পারি। তার আগে নয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসি’র সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা শিক্ষা পরিষদ ও সিন্ডিকেটে আলোচনা করে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান। তবে ইতোমধ্যে বুয়েট, চবি ও ঢাবি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।