প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১:২৮
ফলাফল ভালো করতে না পারলে স্কুলের দুর্নাম হবে তাই হিমু খাতুন নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে পিইসি পরীক্ষা দিতে দেননি পাবনার চাটমোহর উপজেলার দক্ষিণ শিবরামপুর সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম। রোববার থেকে শুরু হওয়া পিইসি পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল হিমু। হিমু উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবদুল হাই-সেলিনা পারভীন দম্পতির মেয়ে। সে দক্ষিণ শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
রোববার থেকে শুরু হওয়া পিইসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির বিষয়ে অনুসন্ধানে নামলে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকও অকপটে স্বীকারও করেন হিমুকে কেন পরীক্ষা দেয়ানো হয়নি।
সোমবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবদুল হাই ও সেলিনা পারভীন দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে হিমু বড়। জন্ম থেকেই হিমু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার চলাফেরা আর ১০ জন ছেয়ে-মেয়ের মতো স্বাভাবিক নয়। তবে একটু সময় দিলে সবকিছুই বুঝতে পারে সে। গত অক্টোবর মাসে স্কুলের চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষায়ও পাস করে হিমু। কিন্তু রোববার থেকে শুরু হওয়া পিইসি পরীক্ষায় তার কেন্দ্র গুনাইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হিমুর আসনটি ছিল ফাঁকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিইসি পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে হিমুদের বাড়িতে যান দক্ষিণ শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম। এ সময় তিনি ফলাফল ভালো করতে না পারলে স্কুলের দুর্নাম হবে, তাই হিমুকে এ বছর পরীক্ষা না দেয়ানোর জন্য হিমুর বাবা-মাকে বলেন। প্রধান শিক্ষকের এমন কথায় হিমুর বাবা-মা রাজি হন। এরপর প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম কৌশলে হিমুকে এ বছর পরীক্ষা দেবে না মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্রও নেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব