পরিবার পরিকল্পনা অনুযায়ী জন্মের হার কমে যাওয়ায় প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর শুরু হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এবার এ দুই মাধ্যম থেকে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক সমাপনীতে কেন শিক্ষার্থী কমেছে- জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন, পরিবার পরিকল্পনার তথ্য অনুযায়ী আমাদের জন্মের হার কিছুটা কমেছে। সেই কারণে আস্তে আস্তে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে প্রাথমিকে সর্বাধিক পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৭৬ জন। এরপর থেকে কমা শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালে ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ২৮ লাখ ৬ হাজার ৯৬ জন, ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার। প্রত্যেক বছরই কিন্তু কমছে। এর মানে এ নয় যে, আমাদের ড্রপ আউট বাড়ছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ড্রপ আউটের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ড্রপ আউট হয়নি, প্রকৃত যে তথ্য আমরা ড্রপ আউট কমিয়ে এনেছি।
তাহলে মাদ্রাসা ইবতেদায়ী শিক্ষার্থী কেন বেড়েছে- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী ও সচিব। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেশের সর্ববৃহৎ পরীক্ষা। এ পরীক্ষার সময় সারাদেশ উৎসবে পরিণত হয়। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে এ পরীক্ষা সম্পন্ন করে আসছেন। আশা করছি, বিগত বছরগুলোর অনুরূপ এবারও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। তবে পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম অবহেলা বা অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।