যোগ্যতা ধরে রাখতে না পারলে এমপিওভুক্ত (মাসিক অর্থ ছাড়) প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এখন থেকে নতুন-পুরনো সব প্রতিষ্ঠানকে নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। যারা ব্যর্থ হবেন তাদের এ আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এমপিওভুক্তি কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এমপিভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে এ নীতিমালা অনুযায়ী তাদের মান ধরে রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হলে তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে। পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আবারও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এমপিও পেয়ে গেছে ভেবে হাল ছেড়ে দিলে তারা বিপদে পড়বেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বরাবরের মতো উন্নতি করতে হবে। পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। সব বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি, কিন্তু এখন থেকে এমপিওভুক্তি পরপর সেগুলোকে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নতুনভাবে প্রায় সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা এমপিওভুক্তি করতে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী এ তালিকা প্রকাশ করবেন। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী চলতি বছরের জুলাই থেকে সরকারি অর্থ সুবিধা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও শিক্ষার মান বাড়াতে নতুনভাবে মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। অনেক সময় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অযাচিত হস্তক্ষেপ হয়, সেগুলো নিয়ে নানান প্রশ্ন আসছে, এ বিষয়গুলোকে এড্রেস (নির্ধারণ) করে সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর এমপিওভুক্তির কার্যক্রম চলমান থাকবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদেরকে এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানকে পিছিয়ে থাকবে তাদের সহযোগিতা করে এগিয়ে আনা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা অর্জন হলেই এমপিওর আওতায় আনা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।