ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক মিত্র সবুজ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ গ্রামের বাড়ি গলাচিপায় গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া আত্মহত্যার কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সবুজের বন্ধুরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের চিকনিকান্দি গ্রামের সৌমিক মিত্র সবুজ ঢাবির জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী ছিলেন। পিতা হারানো সবুজ ডিপার্টমেন্টে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে বিভাগটির ছাত্র প্রতিনিধি (সি,আর)। সবুজের বন্ধুরা বলছেন, গত তিন দিন আগে সবুজের ডিপার্টমেন্টের মিডটার্মের রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে। ১৫ মার্কের একটি পরীক্ষায় তিনি পাঁচ পেয়েছেন। এতে তিনি কোর্সটির শিক্ষক এস এম রেজাউল করিমের কাছে গিয়ে পরীক্ষা ভালো হওয়া সত্ত্বেও কম মার্ক পাওয়ার কারণ জানতে চান। শিক্ষক উত্তরে তাকে বলেন, তোমার হাতের লেখা খারাপ তাই কম নম্বর পেয়েছ।
এ ঘটনায় সবুজ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি সবাইকে জানাতে থাকেন। দুই দিন আগে সবুজ গ্রামের বাড়ি যান। শুক্রবার সকালে তার ফাঁস দেওয়া মরদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ এসে মর্গে নিয়ে যায়। এ বিষয় ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ওর পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। তদন্ত করে যদি ওই শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।