আগামী বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এরপর ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী। সারাদেশে এসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত কেন্দ্রে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এবারের পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করতে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। বহুনির্বাচনী অংশের পরপরই সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। তবে এর মধ্যে কোনো ধরনের বিরতি থাকবে না।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল ইংরেজি প্রথম পত্র, ১৭ এপ্রিল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ২১ এপ্রিল গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্বঘোষিত তারিখের পরিবর্তে এটি নেওয়া হবে ২১ এপ্রিল।
এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্র আগেভাগেই সংগ্রহ করতে হবে। পরীক্ষার হলে অবশ্যই উত্তরপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে OMR ফরমের নির্ধারিত অংশে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। এছাড়া প্রশ্নপত্র বা উত্তরপত্র কোনোভাবেই ভাঁজ করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। তবে কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কারও কাছে মোবাইল ফোন রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সুন্দর রাখতে এবারের পরীক্ষা পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে কর্তৃপক্ষ।